নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত চাষাঢ়া বালুর মাঠ সড়কটি দীর্ঘদিন পর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। সে লক্ষ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল এই সড়কের নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলছে না এ এলাকার জনগনের। কারন লৌহ ব্যবসায়ীরা যেভাবে সড়কটি দখল করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে করে রাস্তাটি পুন:নির্মাণ হলেও তা বেশীদিন স্থায়ী হবে না বলে মনে করছেন তারা। তাই সড়কটি সংস্কারের সাথে সাথে এসব অবৈধ দখলদার লোহা ব্যবসায়ীদের কবল থেকে রাস্তাটি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) চাষাঢ়া বালুর মাঠ সড়কটি পরিদর্শণ করে মিলেছে অভিযোগের সত্যতা। সড়কের দুইপাশে অবস্থিত লোহার দোকান ও ওয়ার্কশপগুলি রাস্তার উপরই তাদের সরঞ্জাম রাখছে এবং রাস্তা দখল করে করছে তাদের সকল কার্যক্রম। ওয়ার্কশপগুলি তাদের পুরানো সাটার রাস্তার উপর রেখেইে মেরামত করছে। রাস্তার উপর রড বাকিয়ে রিং বানানো হচ্ছে। লোহার দোকানগুলির সামনের রাস্তার অনেকটা জুড়ে রেখে দিয়েছে তাদের সরঞ্জাম। ফলে দুইপাশে রাস্তা সংকুচিত হয়ে হেটে চলাচলের অনুপেযোগী হয়ে পরছে। যেন পুরোপুরি মগের মুল্লুক!
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে যান ওয়ার্কশপ মালিকরা। তাদের দাবী, ‘দোকানের সামনে কাম করমুনাতো কই গিয়া কাম করম’ু! লৌহ ব্যবসায়ীরাতো আরো এক কাঠি সরস, তাদের বক্তব্য হচ্ছে, ‘দোকানের সামনে রাখছি, এখানেই রাখমু, পারলে কিছু কইরেন’।
এ বিষয়ে বালুর মাঠ নিবাসী জনৈক চাকুরীজী নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডিকে জানান, এই রাস্তার উপরে যেভাবে লোহা পিটানো হয়, লোহা জাতীয় ভারী বস্তু উঠানো নামানো হয়, তাতে রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করা হলেও তা বেশীদিন টিকবে না। তাই রাস্তা নির্মাণের আগে লোহা ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরিয়ে দিতে হবে।
অপর এক অধিবাসী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বেশ কয়েক বছর আগে বালুর মাঠ থেকে সকল লোহা ব্যবসায়ীদের পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকায় পূণর্বাসন করা হয়েছিলো। বেশীরভাগ লোহা ব্যবসায়ী সেখানে চলে গেলেও খুটির জোড়ওয়ালারা রয়ে যান বহাল তবিয়তে। প্রশাসনও তাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। ফলে তারা দোকানেরর পাশাপাশি রাস্তাটিও দখল করে এর বারোটা বাজাচ্ছে। তাই বালুর মাঠের লোহা ব্যবসায়ীদের শুধু এখান থেকে সরিয়ে দিলেই চলবে না, এতোদিন তারা এখানে অবৈধভাবে ব্যব্সা পরিচালনা ও সড়কের ক্ষতি সাধনের অপরাধে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
এ বিষয়ে ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ইতিপূর্বে নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডিকে বলেছিলেন, বালুর মাঠ সড়কের দুইপাশে কোন লোহার দোকান থাকবে না। সকল লোহা ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এবং তা দোকান মালিকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।