নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: ভাদ্রের শেষে মধ্যরাত থেকে পরেরদিন দুপুর পর্যন্ত কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনো বা ভারী আকারে অবিরাম বষর্ণের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে জলামগ্ন নগরীতে চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ কর্মস্থলে যাওয়া কর্মজীবিদের।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত থেকে শুরু চলমান বৃষ্টি একটানা দুপুর ৩ টা পর্যন্ত চলে। ফলে বৃষ্টির জন্য সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার লক্ষ্যে কাঙ্খিত যানবাহন পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারন যাত্রীদের।
আর বৃষ্টির সুযোগে রিকশা চালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় দ্বিগুণ ভাড়া।
সরেজমিন দেখাগেছে, টানা বর্ষণের কারনে নগরীর ডিআইটি থেকে চাষাড়া পর্যন্ত প্রধান সড়কের দু’ধারেই পানিতে তলিয়ে গেছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচলের সময় অনেক গাড়ীতে রাস্তায় জমা পানি ঢুকে যেতে দেখাযায়।
এছাড়াও বিভিন্ন পাড়া মহল্লা এমনকি বন্দর এলাকাতেও বৃষ্টির পানিতে জলামগ্ন সড়কে চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারন পথচারীদের।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে বিধায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টিও হতে পারে।