নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিরাপত্তাহীন ও আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান দ্বারা লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত।
তিনি বলেছেন “জেল থেকে মুক্তি পেলেও আমি আতঙ্কে আছি। কখন কী ঘটে যায়, জানি না। যদি কোনো কিছু ঘটে যায়, তাহলে আপনারা ধরে নেবেন ওসমান পরিবার থেকে হয়েছে।”
এর আগে বুধবার (৩১ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে তার আইনজীবী শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্তের জামিন চাইলে আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্র্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগের মামলায় আজই তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সবিতা হালদার, আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এসময় মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শ্যামলকান্তি ভক্ত। তিনি বলেন, “আমি পূর্ব পরিকল্পিত পরিস্থিতির শিকার। আমাকে এই মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়ে অপমান করা হয়েছে। এর আগেও আমাকে কীভাবে অপমান করা হয়েছে কান ধরে ওঠ বস করানো হয়েছে, মারধর করা হয়েছে-নির্যাতন করা হয়েছে তা দেশবাসী দেখেছে।”
সাংবাদিকদের বলেন, আমার পুলিশ প্রোটেকশন তুলে নেয়া হয়েছে। একজন বডিগার্ড দেয়া হয়েছিল, তা এখন দেবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান। কখন কী ঘটে যায়, জানি না। যদি কোনো কিছু ঘটে যায়, তাহলে আপনারা ধরে নেবেন ওসমান পরিবার থেকে হয়েছে।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ ঘোষ জানান, আদালত জামিন মঞ্জুর করার পর জামিনের কপি আদালতের মাধ্যমে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে সিটি যাচাই বাছাই করে বিকেলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।