নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: জনসাধারনের চলাচলের সুবিদার্থে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে কাশীপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ভোলাইল থেকে দেওভোগ শেষ মাথা পর্যন্ত সড়কের নির্মান কাজ করা হলেও স্থানীয় ইট বালু ব্যবসায়ীদের এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে সদ্য নির্মিত সেই সড়ক।
আর এই ইমারত ব্যবসায়ীদের কবল থেকে সড়ক রক্ষার পরিবর্তে উল্টো তাদের কাছেই অসহায় হয়ে পড়েছেন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহম্মেদ।
জানাগেছে, প্রায় ৬ মাস পূর্বে এলজিইডির অর্থায়নে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভোলাইল থেকে দেওভোগ শেষ মাথা পর্যন্ত প্রায় দেড় কি.মি. সড়কের নির্মান করা হয়। কিন্তু উক্ত সড়কে মাসুদ এন্টারপ্রাইজ, মোকলেস এন্টারপ্রাইজ, জব্বার এন্টারপ্রাইজ, এম এম এন্টারপ্রাইজ ও ৭নং ওয়ার্ড পঞ্চায়েত কমিটির দুই নেতার থাকা ইমারত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ফেলে রাখার কারনে প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে যানবাহনসহ জনসাধারনের চলাচলে যেমন বিঘœ ঘটছে, তেমনি স্বল্প সময়ের মধ্যেই সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
কিন্তু কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সড়কটি রক্ষায় স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহম্মেদ ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারন পথচারী যাত্রীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি শামীম ওসমানের বরাদ্দকৃত অর্থ এনে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এম সাইফুল্লাহ বাদল জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর পুন:নির্মান করলেও শামীম আহম্মেদের মত স্থানীয় মেম্বারদের কার্যকলাপের কারনে সড়কগুলো নির্বারিত সময়ের পুর্বেই ভেঙ্গে দেবে যাচ্ছে।
তারা আরো অভিযোগ করেন, প্রতিদিন ভারী যানবাহনে ট্রাক বোঝাই বালু, ইট, সিমেন্ট ও রড এনে দোকানদাররা জোরে জোরে সড়কের পাশে ফেলে মালামাল আনলোড করায় ইতিমধ্যেই উক্ত সড়কের অনেকাংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
তাই স্থানীয় ওয়ার্ডবাসীর দাবী, সরকারী অর্থায়নে নির্মিত সড়কটি রক্ষার স্বার্থে জনসাধারনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী এই সকল ইমারত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেন নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আর উক্ত সড়কের ইমারত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন, জানতে চাইলে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহম্মেদ কৌশলে ব্যবসায়ীদের কাছে নিজের অসহায়ত্বের বিষয়টি স্বীকার করেন।