নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি, ফতুল্লা প্রতিনিধি: ফতুল্লায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। স্কুল ছাত্রীকে একটি রুমে আটক করে ৫/৬ জনের সহযোগিদের সহায়তায় মকবুল (২০) নামে এক বখাটে পালাক্রমে ধর্ষন করে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার ইসদাইর গাবতলী টাগারপাড় এলাকায় এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে এবং রাত ১১টায় ধর্ষনের শিকার আহত স্কুলের ছাত্রীকে চিকিৎসা শেষে স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। আর ধর্ষনের শিকার ইসদাইর ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষকের সহযোগি সাইফুল ইসলাম রাসেলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত রাসেল গাবতলী টাগারপাড় এলাকার হাজী সালাউদ্দিনের ছেলে ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই মামলার বাদী জানান, তার ছোট বোন একটি স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।
বুধবার বিকেলে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা খালাতো ভাইকে তার ছোট বোন আগাইয়া দিয়ে এসে টাগারপাড়স্থ সালাউদ্দিনের বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌছালে গাবতলী টাগারপাড়ের তাইজুল হক বেপারীর ছেলে মকবুলসহ তার সহযোগি রাসেল, গাফ্ফার, আসিফ, মুন্নাসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জন মিলে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে রাসেলের ভাড়াটিয়া বাড়ি বকবুলের বাসায় নিয়ে আটক করে।
পরে সকল সহযোগিরা বাসার বাইরে অবস্থান করে পাহারা দেয় এবং বখাটে বকবুল পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে স্কুল ছাত্রীকে আহত অবস্থায় ফেলে সবাই চলে যায়। এসময় স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়া এক মহিলা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে খবর দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন ও মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষকের এক সহযোগিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষক ও সহযোগিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রী খুব অসুস্থ হওয়ায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়েছে।