নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: এবার কথা দিয়ে কথা রাখলেন না নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ¦ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ। যা নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জানাগেছে, রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে কাশিপুর হাজীপাড়ার বাসিন্দা অসুস্থ্য বিএনপি নেতা আলহাজ্ব দেলোয়ার মাদবর কে দেখতে ও একই এলাকার আরেক প্রয়াত নেতা আলহাজ¦ তোতা মিয়ার বাড়ীতে আসার কথা ছিল গিয়াস উদ্দিনের। সেই সংবাদ পেয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরাও আগে থাকতেই তাদের বাসায় অবস্থান করেন।
কিন্তু শেষতক আর গিয়াস উদ্দিন অসুস্থ্য নেতাকে দেখতে কিংবা প্রয়াত নেতার বাড়ীতে সমবেদনা জানাতে আর যাননি। বিকাল ৫ টায় কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক রতন হোসেন হাজীপারা গিয়ে জানায়, গিয়াস উদ্দিন কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি অনুষ্ঠানে থাকার কারনে এখানে আসতে পারছেন না বিধায় দু:খ করেছেন।
এরপর সেখানে গিয়াস উদ্দিনের আগমনীতে অপেক্ষমান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে কেউ কেউ বলেন, এমপি না হতেই এই অবস্থা! আর যদি তিনি ভবিষ্যতে ফের এমপি হওয়ার সুযোগ পান তাহলে তো তার সান্নিধ্যেই যাওয়া যাবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জে তেমন কোন উন্নয়ণ করেন নি গিয়াস উদ্দিন। শুধু নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত থাকা গিয়াস উদ্দিন ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তার কেরামত কাতেবিন সারুলিয়ার সেলিম, জামানকে ফতুল্লা এলাকার শাসন ভার দিয়ে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
ফতুল্লায় গিয়াস উদ্দিনের ছিলো কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। কাশিপুর এলাকায় শিপন, ফরিদ, সাদেক, লম্বা কামালসহ একাধিক সন্ত্রাসীর নিয়ন্ত্রণে গড়ে তুলেছিল সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা উক্ত এলাকার ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতো।
এছাড়াও বিএনপির এমপি হয়ে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই গিয়াস উদ্দিন ভোল পাল্টে নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উছিলায় ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচী পালন করে বিতর্কের জন্ম দেন বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় নেতৃবন্দ। যা কিনা সম্প্রতি ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি শাহ্ আলমও বলেছেন।