নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: একে অপরের শরীর ঘেঁষে চলাচল করছে শত শত মানুষ, আর রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ার চিরচেনা দৃশ্য এটি। কিন্তু মরনঘাতি করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কয়েকদিন যাবত লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। রাস্তায় দেখা গেছে হাতে গোনা কিছু মানুষ। যানবাহন চলাচলও ছিল সীমিত। যে ককেজন লোক জীবনের প্রয়োজনে চলাচল করছেন তাদের মাঝেও বিরাজ করতে দেখা গেছে অজানা আতঙ্ক, সকলের কাছেই চিরচেনা নারায়ণগঞ্জ শহর যেনো অচেনা লাগছে এখন।
শুধু চাষাঢ়াই নয়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না। তাই দিনের বেলাও পুরো এলাকা ফাঁকা থাকে।
সোমবার ২৩ মার্চ সকাল, দুপুর ও বিকেলে তিন দফা সরেজমিনে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ব্যাংক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রধান ডাকঘর, আদালত, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর বিপণিবিতানগুলো খোলা ছিল। তবে সবখানেই মানুষের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের চেয়ে ছিল অনেক কম। শহরের ব্যস্ততম বঙ্গবন্ধু সড়কে ছিলো না নিত্যদিনের মতো যানজট, ফুটপাতও ছিলো ফাঁকা। শহরের বিভিন্ন মোড়ে দেখা গেছে খালি রিকসার সারি, যাত্রীর অভাবে রিকসা রেখে অলস সময় পার করছেন রিকসা চালকরা।
করোনার সংক্রমণ রোধে আগামী ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যাবে সব মার্কেট আর দোকানপাট। আপাতত শেষ দুয়েকদিন খোলা থাকলেও মার্কেটগুলোতে দেখা যাচ্ছে না তেমন একটা ভীড়। বেচাকেনা নেই বললেই চলে জানালেন বিক্রেতারা। ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দেখা যায়নি আগের মতো কর্মচাঞ্চল্য। শুধুমাত্র বাজারগুলোতে কিছু মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়ের নিমিত্তে।
নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অচল হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রামন রোধে সাড়া দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও আগামী ২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ ও হাসপাতাল ছাড়া সরকারের সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এর সংক্রমণ ঠেকাতে ২৪ মার্চ থেকে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও সেনাবাহিনী মাঠে নামছে। অনেকটা লক ডাউনের মতই হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে।