নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের হয়রানীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাহিমা নামের এক গৃহবধু। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির প্ররোচনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আ: সাত্তার ও এসআই রাসেল রাহিমার স্বামী মনির খানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন রাহিমা। স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখায় দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপণ করছেন তিনি এবং চরম নিরাপত্তাহীনতায় তার দিন কাটছে বলে জানান ভুক্তভোগী রহিমা। জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
সোমবার (২১ আগষ্ট) সন্ধ্যায় শহরের ব্যাঙ্কোয়িট চাইনিজ রেষ্টেুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সুমিলপাড়া নিবাসী রাহিমা বেগম উল্লেখ করেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় রাহিমার স্বামী মনির খান ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের পক্ষে কাজ করেন। এতে বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি মনির খানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং নিজ ক্ষমতাবলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আ: সাত্তার ও এসআই রাসেলকে ম্যানেজ কওে মনির খানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১৪ আগষ্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতিকালে এসআই রাসেল ওসির কথা বলে মনির খানকে থানায় ডেকে নিয়ে হাজতে আটকে রাখেন। এ সময় খবর পেয়ে মনির খানের স্ত্রী রাহিমা বেগম থানায় গিয়ে কি অপরাধে তার স্বামীকে আটকে রাখা হয়েছে, জানতে চাইলে ওসি এসআই রাসেলের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তখন রাহিমা বেগম এসআই রাসেলের সাথে কথা বললে এসআই রাসেল তার কাছে স্বামীকে ছাড়ানোর জন্য এক লক্ষ টাকা দাবী করেন। অনেক কষ্টে রাহিমা বেগম বিশ হাজার টাকা জোগাড় কওে এসআই রাসেলের কাছে দেন। কিন্তু বিশ হাজার টাকা নিয়ে রাসেল তার স্বামীকে ছাড়ানোর বদলে পুরানো দুটি মামলায় মনির খানকে কোর্টে চালান কওে দেয়। অথচ সেই মামলার এজাহাওে মনির খানের নাম নেই। আর এসব কিছুই করা হচ্ছে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির ষড়যন্ত্রের কারনে। যে মামলায় মনির খানকে চালান করা হয় সে মামলা নং (৭৩)০৫/২০১৭, (১৫)০৭/২০১৭ ও (৪৬)০৭/২০১৭।
রাহিমা বেগম পরিশেষে কান্না বিজরিত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামীর অবর্তমানে অনাহাওে অর্ধাহাওে দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপণ করছি। আমার পুরো পরিবারের জীবন বিপন্ন হয়ে পরেছে। এমতাবস্থায় আমার পরিবারের জীবন বাঁচাতে স্বামীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, পুলিশী নির্যাতন বন্ধসহ স্বাভাবিক জীবনের ব্যবস্থা করতে পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি। ইতিপূর্বে এই আবেদন জানিয়ে ২০ আগষ্ট জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।