নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: কারাভোগের ক্ষোভেই আড়াইহাজার উপজেলার পাওয়ারলুম কারখানার শ্রমিক ইউনুছকে হত্যা করা হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন মামলার প্রধান আসামী আনোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুব মহসিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের লৌহমর্ষক বর্ণনা দেন আনোয়ার বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএম।
তিনি নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডিকে জানান, ‘৪ লাখ টাকা পাওনা থাকায় এবং এর জন্য মামলায় কারাভোগ করার ক্ষোভে আনোয়ার প্রায় এক মাস পূর্বে ইউনুছকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে হত্যা করে ডোবায় লাশ গুম করে রাখে। এরপর মামলার প্রধান আসামী আনোয়ারকে গ্রেফতারের পর ৩ দিনের রিমান্ডে আনা হলে দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সে আদালতে হত্যা কান্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।’
তিনি আরো জানান, প্রায় মাস খানেক পূর্বে আড়াইহাজার উপজেলার গহরদী এলাকার কাশেমের ছেলে ইউনুছ নিখোঁজ হয়। এরপর গত সোমবার স্থানীয় বিজয়নগর এলাকায় একটি চক থেকে নিহত ইউনুছের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
এর আগে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী আনোয়ারকে আটক করেন। সে বিজয়নগর এলাকার মৃত ওয়াজউদ্দিনের ছেলে।
আর আনোয়ারের সহযোগী মুকবল নামে অপর আসামীকে আড়াইহাজার থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার নিজ এলাকা থেকেই আটক করেন। সে একই এলাকার আফতর উদ্দিনের ছেলে।
পরবর্তীতে, তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার পুলিশ নিহতের কঙ্কালটি উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী মাহমুদা জানান, তিন বছর আগে বিজয়নগর দড়িগাঁও এলাকার আনোয়ারকে গরু কেনার জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে ও জমি বিক্রি করে ৪ লাখ টাকা ধার দেয়া হয়। উক্ত টাকা পরবর্তীতে চাওয়া হলে আনোয়ার টাকা দিতে তালবাহানা করতে থাকে। এনিয়ে পরে একটি মামলা করা হলে দুইবার জেলও খাটে।
এরই জের ধরে গত ৫ অক্টোবর ইউনুসকে তার কর্মস্থল থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি পাচ্ছিল না। এ ঘটনায় ৬ অক্টোবর নিহতের বোন মল্লিকা বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। নিহত ইউনুছ দুই সন্তানের জনক ছিলেন।