নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: কাশীপুর ২নং ওয়ার্ডে জামায়াত সমর্থিত ও জামায়াতের অর্থের যোগানদাতা মো: হযরত আলীর বিরুদ্ধে পরিবেশ অশান্তের অভিযোগ উঠেছে। আর তাকে সহগোগিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় আবুল ড্রাইভারের পুত্র হাবিবের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে নারায়ণগঞ্জের কাশীপুর ইউনিয়ন এলাকায় এসে একটি ডাইং কারখানায় চাকুরী নেয় মো: হযরত আলী। এরপর তিনি নিজেই ক্যামিকেলের ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ক্যামিকেলের ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। আর সেই কালো অর্থের অধিকাংশ ব্যায় করে থাকতেন সরকার নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর দল পরিচালনায়।
জানাগেছে, বর্তমানে জামায়াত শিবিরের বহু কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আঁতাত করে কাশীপুুর ২নং ওয়ার্ডে নিজ বলয় গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হয়রত আলী। সরকারের ভাবমূর্তি ও উন্নয়ণ প্রচেষ্টা নস্যাতের লক্ষে এই হযরত আলীকে সহযোগিতা করেন যাচ্ছেন আবুল ড্রাইভারের পুত্র হাবিব। যিনি বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বিশ দলীয় ঐক্যজোটের মনোনীত প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমীর পক্ষে কাজ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাশীপুর ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর কাশীপুর শান্তি নগর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ‘প্রায় সময় বিশেষ করে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হযরত আলীর বাসায় দামী দামী গাড়ীতে চড়ে বিভিন্ন লোকজন আসেন এবং গভীর রাত পর্যন্ত এখানে মিটিং করেন। আমরা এলাকাবাসী হযরত আলীর জামায়াত কার্যক্রম পরিচালনার কারনে উদ্বেগ উৎকন্ঠার ভিতর দিন পার করছি। কেননা, ইতিপূর্বে জামায়াত শিবিরের দেশব্যাপী নাশকতায় বহু মানুষের প্রাণহানী এবং জানমালের ক্ষতি সাধন করেছিল। হযরত আলী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের লক্ষে প্রায়শই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী নানা ধরনের ছবি ও লেখা পোস্ট করে থাকেন।’
তাই এখন আবার আওয়ামীলীগ সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে হযরত আলী ও হাবিবের নেতৃত্বে জামায়াত শিবির নাশকতার ছক কষছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এদিকে, স্থানীয় অভিযোগের ব্যাপারে জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে হযরত আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া সম্ভব হয়নি।