নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: ফতুল্লায় ডেকে নিয়ে আবদুল কাশেম চৌধুরী (৬৫) নামে এক নৈশপ্রহরীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা মিল মালিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শনিবার (১০ মার্চ) সকাল ৯ টায় ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড দেলপাড়া এলাকায় সিডি বোর্ড মিলে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের পাশাপাশি মিলটি সীলগালা করে দিয়েছেন।
নিহত আবদুল কাশেম একই এলাকার মৃত ইসলাক চৌধুরীর ছেলে। তিনি তার সন্তান ও নাতী নাতনীদের নিয়ে দেলপাড়া বাজার এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহতের ছেলে অনু চৌধুরী জানায়, গত ৯ মার্চ রাত ৮ টায় সিডি বোর্ড মিলের মালিকের কথা বলে তার ছোট ভাই এবং আক্তার হোসেনের ছেলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। সারারাত সে বাড়ি ফেরেনি। সকালে আবারো মালিক পক্ষের মানুষ তার বাসায় এসে নিহতের খোঁজ জানতে চায়। এ সময় বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হলে তারা এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে মিলে প্রবেশ করে এবং তার ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পায়।
নিহতের স্ত্রী শরিফুন্নেছা জানায়, তার স্বামী ইতিপুর্বে সেই বোর্ড মিলে চাকরী করতেন। ৩ মাস আগে অজানা আতঙ্কে সে চাকরী ছেড়ে দেয়। প্রায়ই নিজেকে মেরে ফেলবে কেউ বলে প্রলেপ বকতেন। কিন্তু কারো নাম প্রকাশ করেননি। কিন্তু সেই মিলের লোকেরাই তার প্রাণ কেড়ে নিল।
এদিকে এই ঘটনার পর পুলিশ এসে মিলটি সীলগালা করে দিয়ে যায়। আর উত্তেজিত জনতার রোষানল থেকে মিল মালিক সেলিম মিয়াকে আটক করে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মো: কামাল উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।