নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নৌ পথে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: রাব্বী মিয়ার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন এর নেতৃবৃন্দ।
লিখিত স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ নৌ-যানে কর্মরত শ্রমিকরা যার যার পছন্দের রাজনৈতিক দল করলেও শ্রমিকরা দল নিরপেক্ষ ট্রেড ইউনিয়নসমূহ অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। শিল্প ও শ্রমিক স্বার্থে দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করা ছাড়া অন্য কোন ধরনের রাজনৈতিক অপতৎপরতার নজির নাই তাদের। নৌ সেক্টরে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন মূলতঃ শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হলেও বিভিন্ন সরকারের আমলে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন সংগঠন গজিয়ে উঠে। কিস্তুু বিগত কয়েকমাস যাবৎ বাংলাদেশের বিভিন্ন রুটে নানা ধরনের সন্ত্রাসী, হয়রানি, চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ ঘটনার শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা। গত ৫ অক্টোবর তাদের কেন্দ্রীয অফিসে হামলা হলে তারা বিষয়টি থানায় অবহিত করে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি বেশ কয়েক মাস পূর্বে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা, রেল ষ্টেশন চত্বর, নৌ ঘাট সমূহে এমনকি নদীতে অবস্থানরত জাহাজের শ্রমিকদের উপর পেশী শক্তি প্রয়োগ, মোবাইলে হুমকি, লাঞ্ছিত করা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর অব্যাহত থাকে। গত ১৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ২য় তলায় তাদের দীর্ঘদিনের অফিসে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন এর যুগ্ন সম্পাদক রউফুজ্জামান (মিন্টু মাষ্টার) ও অন্যতম নেতা মোজাফর মাষ্টারকে দৈহিকভাবে লাঞ্ছিত করে জোর পূর্বক অফিস থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয় এবং অফিস খুললে জীবন নামের হুমকি প্রদান করে। লাঞ্ছিত নেতৃবৃন্দ থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিতকরলে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করে এবং তাদের উপস্থিতিতে অফিসের তালা খুলে দিলে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করেন।
ওইদিন সন্ধায় টার্মিনালের পাশে রেল ষ্টেশন এলাকায় জাহাজের লোকজন চা খেতে গেলে ওই সন্ত্রাসীরা তাদের অপমান করেন। এই পরিস্থিতিতে গত ১৬ অক্টোবর বিকেলে তাদের অফিসে একটি সভার আহবান করলে সন্ত্রাসীরা অফিসে বসে থাকা ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ হাবিব উল্লাহ বাহার মাষ্টার ও অন্যতন নেতা বজলুর রহমান, আবু তালেব মাষ্টারকে মারধর করে গালিগালাজ করে। তারা ছাতক, সুনামগঞ্জ থেকে মেঘনা ব্রীজ পর্যন্ত বিভিন্ন নামে চাঁদাবাজি সহ,গজারিয়া ও চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীতে চর ইজারাদার নামে সারাদেশে নদী সংলগ্ন এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে তারা নৌ পরিবহন মন্ত্রানালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়, নৌ পরিবহনের সচিব সহ ২১ টি দপ্তরে একটি অনুলিপি প্রেরন করেন। স্বারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারন সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।