নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: জেলা প্রশাসক স্বামীকে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা বলে আখ্যায়িত করলেন নারায়ণগঞ্জ লেডিস ক্লাবের সভাপতি নাজমুন নাহার।
নিজেকে স্বামীর ভক্ত দাবী করে তিনি বলেন, ‘আমি হলাম তার (রাব্বী মিয়া) ফ্যান। কারন তার বক্তব্য খুব স্মৃতিমধুর এবং রুচিশীল। কারন হল আপনারা দেখছেন আমার বাংলোয় বিভিন্নœ অনষ্ঠানে যারা ভালো স্টুডেন্ট তাদের কে দাওয়াত করে নেওয়া হয়। এর একটাই কারন তারা যেন বুঝতে পারে লেখাপড়া করলে কোথায় যাওয়া যায়।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আলীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে স্কুল প্রাঙ্গনে আয়োজিত বিশাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চরিত্র হলো মানুষের অমূল্য সম্পদ। কথায় আছে ‘মানি লস সামথিং লস, বাট্ কেরেক্টার লস, এব্রিথিং লস।’
উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ শ্রম কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ কাউসার আহম্মেদ পলাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো: রাব্বী মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবিন বিনতে শেখ, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো: কামাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর আলম, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী জসীম উদ্দিন।
সভাপতির বক্তব্যে পলাশ স্কুলের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারন করে বলেন, একসময় সামছুল হক ভাই আর আমি ২ টাকার চা খেয়ে স্কুলের পাশে বসে মিটিং করি। তখন সামছুল হক ভাই আমাকে বলেন তুমি যদি থাকো তাহলে আমরা আলীগঞ্জ স্কুল প্রতিষ্ঠা করবো। তখন আমি বললাম আপনি আগামীকাল স্কুলের সাইনবোর্ড লাগান, আমি ও আমার বন্ধুবান্ধব থাকব আপনার সাথে। ইনশাআল্লাহ স্কুল নির্মান করলাম, তবে শুধু বলবো, ভালো কাজ করার সময় বাধা আসবে। আমার বক্তব্য ঢেউ ওঠে শ্রমিক সমাজে অনেক কিছু হয়ে যায় কিন্তু আমি যার বক্তব্য শোনার অপেক্ষা করি জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার, আমার তখন মন চায় তার কাছ থেকে বক্তব্য শোনার।’