নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: কাঁচা মরিচের লেগেছে ‘আকাল’, তাই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৮০-১০০ টাকা দাম। যা বর্তমানে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা। আর সেই সাথে যোগ হয়েছে শসা। যার আকাশচুম্বী দাম শুনে সালাদ খাওয়ার স্বাদ ভুলে উল্টো পথে হেঁটে চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা। অর্থাৎ বাজারে দেশী শসা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও হাইব্রীড শসা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখাগেছে, এক লাফে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার করতে এসে এখন কাঁচা মরিচের উত্তাপে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। আর শসার দাম শুনে আকাশ ভেঙ্গে পড়ছেন ক্রেতারা।
কেননা, গত সপ্তাহে যেখানে কেজি প্রতি শসা ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল, সেখানে এ সপ্তাহে তা বেড়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আব্দুল মিয়া জানান, ৫ কেজি মরিচ কিনি ৯০০ টাকায়। এক পাল্লা বিক্রি করে ১০০ টাকা লাভ হয়। বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে গেছে আগেই। সেজন্য চাহিদার তুলনায় কম পাওয়া যাচ্ছে। তাই দাম বেশি।
অপরদিকে, দাম অত্যাধিক হওয়ায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লার বাজারে এখন মরিচের ‘আকাল’ পড়েছে। দ্রুত পচনশীল সবজি হওয়ার কারনে এত দাম দিয়ে সব বিক্রেতারা মরিচ কিনে আনছেন না। তন্মধ্যে যারাও আনছেন তারা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম করেই আনছেন।
আর শসার দামও হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে অধিকাংশ বিক্রেতাই শসা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। কারন হিসেবে তারা বলেন, একে তো দামী শসা। দ্বিতীয়ত কয়েকদিন থাকলেই শসার খোলসে হলদে বর্নের হয়ে যায়। ফলে ক্রেতারা সেই শসাকে পাকা বা নষ্ট ভেবে সহজে নিতে চায় না। তাই দাম বেশী হওয়ায় সব দোকানদার এখন আর শসা বিক্রি করছেনা।