নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নগরীতে ফুটপাতের অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন।
বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে নাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা মো: আলমগীর হিরনের নেতৃত্বে লাল পোশাক পরিহিত একদল পরিচ্ছন্ন কর্মী এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ফুটপাতের উপড়ে থাকা সকল বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগের তার টেনেহিঁচরে ছিড়ে ফেলে।
তবে নিয়ম থাকলেও উচ্ছেদ অভিযানে ছিল না জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ডিপিডিসির কর্মকর্তাবৃন্দ। যার ফলে নাসিকের এই উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সাধারন জনতা।
সরেজমিন নগরীর মন্ডলপাড়া ব্রীজ থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত সড়কের দু’ধারে ফুটপাতের উপড় কোন দোকানদারকে বসতে দেখেই পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ব্যবহার বেপরোয়া হয়ে উঠে। উচ্ছেদ অভিযান কালে ফুটপাতে কোন হকার না থাকলেও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা টেনেহিঁচরে মালামাল লুটসহ বেআইনী ভাবে বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগের তার বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এসময় রাস্তার মধ্যে থাকা এক মেডিকেল অফিসারের মোটর সাইকেল গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে যায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। যার নং (ঢাকা মেট্রো-হ ৫৩-৩৭৪৫) যা দেখে উচ্ছেদের নামে নাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সন্ত্রাসী কায়দায় আধিপত্য বিরাজ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সাধারন পথচারীরা।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা মো: আলমগীর হিরন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, নগরীর ফুটপাতে আর না বসতে হকারদের শেষ বারের মত আল্টিমেটাম দিয়ে মাইকিং গত বৃহস্পতি ও রবিবার দু’দফা মাইকিং করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন।
সতর্কীকরণ মাইকিংয়ে বলা হয়, সোমবার থেকে নগরীর ফুটপাতে হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। সেলক্ষ্যে হকারদের মালামাল ফুটপাত থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আহবান জানানো হয়। যদি এরপরেও কোন হকার ফুটপাতে দোকান বসানোর চিন্তা করেন তাহলে তার মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারী করা হয়।
যার প্রেক্ষিতে গত তিনদিন নগরীর ফুটপাত গুলো অকেটাই ফাঁকা অবস্থায় থাকে।