নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: ভোর থেকেই পর্যায়ক্রমে কাল বৈশাখীর তান্ডবে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে নারায়ণগঞ্জবাসী। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি কোথাও বাকী নেই, যেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি।
দিনভর থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর বজ্রপাতে রীতিমত আতংকিত হয়ে পড়ে রাস্তাঘাটে চলাচলরত সাধারন পথচারী।
রবিবার (২৯ এপ্রিল) বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ছিল সরকারি ছুটি। এদিন ভোর থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। ধীরে ধীরে এ মেঘ আরও ঘনীভূত হয় এবং একপর্যায়ে কালো মেঘে ছেয়ে যায় নারায়ণগঞ্জের আকাশ। কালবৈশাখীর সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিতে অনেক সড়কে পানি জমে গেছে। সকালের পর বৃষ্টি হয় দুপুরেও। এতে নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ছুটির দিনে ঝড়-বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। সকালে কালবৈশাখীর সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিতে অনেক সড়কে পানি জমে গেছে।
বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন নিন্ম আয়ের শ্রমজীবিরা। ভারী বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আর ডিএনডি’র ভিতরের অবস্থাতো অবর্ণনীয়।
নারায়ণগঞ্জের মতো দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, সোমবারও ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার কিংবা আরো অধিক বেগে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সে সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে দুই নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।