নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সাত বছরের শিশু মাকসুদুল ইসলাম তুহিন হত্যার ঘটনায় পিতা-পুত্রকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মরদেহ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করার অভিযোগে পিতা-পুত্রকে আরো ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় দেন আদালত।
সোমবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত এ রায় ঘোষনা করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, নিহত তুহিনের চাচা বিল্লাল হোসেন (৪৫) ও তার পুত্র মাহফুজুল ইসলাম (১৭)।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এড. আব্দুর রহিম জানান, আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের দন্ত চিকিৎসক নাছির উদ্দীনের ছেলে খড়িয়া ব্র্যাক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল মাকসুদুল ইসলাম তুহিন।
২০১৫ সালের ৮ মে বিকেলে বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনে মাঠে খেলতে যায় সে। ঐসময় আম ভর্তা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তুহিনকে অপহরণ করা হয়। পরের দিন মোবাইলে ফোন করে তুহিনের বাবা নাছির উদ্দীনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। এ ব্যাপারে নাছির উদ্দীন ৯ মে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা করেন।
এরপর ১২ মে বিকেলে নরসিংদী থেকে মাহফুজুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য মতে আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি গ্রামের একটি ড্রাম থেকে তুহিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিজের বাবাকে মারধরের প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে তুহিনের চাচাতো ভাই মাহফুজুল ইসলাম।
এপিপি আরো জানান, ‘আমরা আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপনে সমথ হয়েছি বিধায় আদালত আসামী পিতা পুত্রের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান করেছেন।’