নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পাঁচটি পণ্য ন্যায্য মূল্যে জনগনের কাছে পৌছে দিতে প্রতিবারের মতো এ বছরও সরকার সারাদেশে টিসিবির মাধ্যমে খোলা ট্রাকে করে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। আর নারায়ণগঞ্জে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘ফুল প্যাকেজ’ ছাড়া পণ্য বিক্রি করা যাবে না, দুই কেজির কম নেওয়া যাবে না, নির্ধারিত সময়ের আগেই চলে যাওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ক্রেতারা।
সরেজমিনে রবিবার (৪ জুন) নারায়ণগঞ্জ আদালতের প্রধাণ গেইট সংলগ্ন টিসিবি’র ডিলার মাসুদ আলমের মালিকানাধীণ মাসফি এন্টারপ্রাইজের খোলা ট্রাকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শণে মিলেছে অভিযোগের সত্যতা।
এ সময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম দুই কেজি চিনি ও পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে চাইলে ডিলার মাসুদ আলম জানান, ফুল প্যাকেজ অর্থাৎ সবগুলো পণ্যই কিনতে হবে। না হলে পণ্য বিক্রি করা যাবে না। এ নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটে।
ক্ষুব্ধ ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকার আমাদের সুবিধার জন্য টিসিবির পণ্য বিক্রি করছে। অথচ এই বিক্রি কার্যক্রম আমাদের সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশী হচ্ছে। আমার লাগবে তেল ও চিনি, তারা আমাকে ডাল, ছোলা কিনতে বাধ্য করছে। এটা সরকার করছে নাকি ডিলার করছে আমরা তা বুঝি না। তবে এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
আরেক ক্রেতা এক কেজি চিনি ও এক কেজি ছোলা কিনতে চাইলে তাকে বলা হয়, গাড়ির সব আইটেমের পণ্য কিনতে হবে এবং কমপক্ষে দুই কেজি কিনতে হবে। অন্য আরেক ক্রেতা খেজুর কিনতে চাইলে তাকে বলা হয়, ব্যানারে খেজুরের দাম লেখা নাই দেখেন না! খেজুর পাওয়া যাচ্ছে না। এ রকম নানা অভিযোগের তথ্য মিলেছে টিসিবি’র এই ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে।
এ সময় অভিযোগের সুরে এক ক্রেতা বলেন, রোজার মাসে খেজুরের চাহিদা বেশী অথচ এরা সেই খেজুর দিচ্ছে না আমাদের। বেশী দামে এরা খেজুর মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। আর এসব অনিয়ম দেখার যেনো কেউ নেই। সরকারের উচিত এগুলি সঠিক মনিটরিং করা।
এব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালাহউদ্দিন আহম্মেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, পবিত্র রমজান ম্সা উপলক্ষে সরকার টিসিবি’র মাধ্যমে প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, মসুরের ডাল ৮০ টাকা করে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।