নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সভা সমাবেশের ইতিহাস সুখকর নয়। তারা প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক বন্ধ করে মানুষের দুর্ভোগ করে সমাবেশ করলে পুলিশ তো তাদের সরিয়ে দিবেই। আমরা তো সড়কে সমাবেশ করিনি, আমরা ময়দানে সমাবেশ করেছি।
শুক্রবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়াণগঞ্জের নতুন কোর্ট এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে সড়কের উন্নয়ন কাজের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, পুলিশ পলাতক আসামীদের ধরেছে। এমনিতেই মামলার এসব আসামীরা পালিয়ে থাকে, আবার সভা সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করেছে, এটা তো তাদের কাজ।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবীর ব্যাপারে তিনি বলেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পরেই সেটা হবে। শিডিউল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনের এ ব্যাপারে করণীয় নেই। নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেটা দেখা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশিনের আরণবিধি মেনেই সব দলকে নির্বাচনী কর্মকান্ড চালাতে হবে।
এর আগে সেতুমন্ত্রী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের বিভিন্ন পয়েন্টে সংস্কার কাজ ঘুরে দেখেন।
এসময় তিনি গণ্যমাধ্যমকে জানান, এই সড়ক সংস্কারে ১৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সড়ক বিভাগ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়া হলেও আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই তা শেষ করা হবে। নির্বাচন তো এখনি হচ্ছে না। নির্বাচনের সকল দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
নারায়ণগঞ্জের এ সড়কের মতো সব সড়কেই ভালো মানের কাজ চলছে। ভালো কাজের ভালো ফল, মন্দ কাজের জন্য শাস্তি থাকবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সওজের কর্মকর্তাসহ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ পিপিএমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।