নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নিখোঁজ ব্যাক্তির জিডি তদন্ত করতে গিয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করলো নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আর বৃহস্পতিবার (১ জুন) এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে ডিবি। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন, এসআই জাহাঙ্গীর আলম, এসআই গিয়াস উদ্দিন, এসআই মনিরুজ্জামান, এএসআই শামীম হোসেন ও অন্যান্য ফোর্সগণ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কিশোরগঞ্জ চুপিনগর এলাকার শাহাবুদ্দিনের পুত্র হানিফ (২৮) ও সোনারগাঁয়ের সানমন্দি এলাকার বাসিন্দা আরিফ (২৯)।
ডিবির ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, বিগত ১ বছর পূর্বে মুক্তিপন আদায়ের উদ্দেশ্যে মারুফ নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করে সোনারগাঁ থানাধীন পঞ্চবটি চকের মধ্যবর্তী পাটক্ষেতে গলা টিপে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলাকেটে ফেলে রেখে চলে যায় দুস্কৃতকারীরা। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু পরিচয় অজ্ঞাত থাকায় রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয় নাই। এই সংক্রান্ত সোনারগাঁ থানার মামলা নং-০৯(৬)১৬ ধারা -৩০২/২০১/ ৩৪ দঃবিঃ রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পুলিশ চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এরপর এই বৎসরে রূপগঞ্জ থানার একটি মানুষ হারানোর জিডি ডিবি অফিসে আসে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হারানো ব্যাক্তির অনুসন্ধানের নিমিত্তে নেমে ডিবির টিম নিখোঁজ মারুফ হাসানের সাথে সম্পর্কৃত মো: হানিফকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে, মারুফকে গত বছরের ৩ জুন দিবাগত রাতে ডেকে নিয়ে সহযোগী সোনারগাঁ থানাধীন সনমান্দি গ্রামের আরিফ ও আফজালের সহযোগীতায় সোনারগাঁ থানাধীন পঞ্চবটি চকের মধ্যে পাটক্ষেতে নিয়ে হাত বেধে মোবাইল মারফতে মারুফের পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবী করে। মুক্তিপন না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে হানিফ, আরিফ ও আফজাল গলা টিপে শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করতঃ মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য মারুফের গলা কেটে পাটক্ষেতে উপোড় করে ফেলে রেখে চলে যায়।
অত:পর হানিফের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোনারগাঁ থানায় খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া যায় এবং ভিকটিমের ছবি দেখে ভিকটিম মারুফের ভাই সাঈদ হাবিব ও আসামীগণ সনাক্ত করে। আসামী হানিফের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে অপর আসামী আরিফকে সোনারগাঁ থানাধীন সনমান্দি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।