নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: করোনা ভাইরাস মোকালোয় প্রায় তিন মাস যাবত চেষ্টা করছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরাও তাদের সামর্থ মতো সাহায্য সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সরকার কিংবা জনপ্রতিনিধিরা এসব কাজ করছেন তাদের দায়বদ্ধতা থেকে। তবে কিছু নি:স্বার্থ মানুষও রয়েছেন এই সমাজে যারা কোন প্রচার প্রচারনা বা প্রতিদান পাওয়ার আশা না করে শুধুমাত্র মানব সেবার ব্রত নিয়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দিনের পর দিন করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। তেমনি একজন নি:স্বার্থ সমাজ সেবকের নাম মাহবুব হাসান জুলহাস।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ভয়ে বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ ঘরে বন্দি জীবন যাপণ করছেন। তবে কিছু অকুতোভয় বীর সেনানী নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন কিন্তু থেকে যাচ্ছেন আলোচনার বাইরে। দিনরাত সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য পৌছে দিচ্ছেন মানুষের দোড়গোড়ায়। তেমনি এক নিভৃতচারী করোনা যোদ্ধা হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব হাসান জুলহাস। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই শহরের মিশনপাড়া, ডন চেম্বরসহ আশেপাশের এলাকায় মাইকং, জীবানুনাশক স্প্রে করাসহ নানা সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন এই যুবনেতা। তাছাড়া ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুর পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী রাতের অন্ধকারে পৌছে দিচ্ছেন ওয়ার্ডবাসীর ঘরে ঘরে অথচ এতাকিছু করেও থেকে যাচ্ছেন আলোচনার বাইরে। করোনা যোব্ধা হিসেবে নারায়ণগঞ্জে নানা জনের নাম উঠে আসলেও অনুচ্চারিতই থেকে যাচ্ছে প্রচারবিমুখ এই বীর সৈনিকের দু:সাহসিক কাজগুলোর কথা।
জানা যায়, বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বাংলাদেশেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে সর্বত্র। স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই, ঘোষনা করা হয়েছিলো সাধারণ ছুটি। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছিলো সরকার, কয়েক দফা বেড়ে ৩০ মে পর্যন্ত ঘোষনা হয়েছে সেই ছুটি। সেই সাথে দেশের সকল মার্কেট, সুপার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করেছিলো দোকান মালিক সমিতি, বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো গন পরিবহনও। তবে গত ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি বাতিল করে আবারো খুলে দেয়া হয় অফিস আদালত আর দোকানপাট, সীমিত আকারে চলছে গণ পরিবহনও।
সারাদেশের রাজনীতিবীদরা চেষ্টা করছেন করোনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াতে। সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে চলছে সাহায্য সহযোগিতা। সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। সকলকে সচেতন করছেন করোনার কবল থেকে মুক্তি পেতে সতর্ক থাকার জন্য। স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকলকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়েছে সরকার। আর যারা প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অবশ্যই মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
করোনার প্রকোপ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছেন। সেসব অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছে সরকার, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সমাজের সামর্থবান ব্যক্তিবর্গ। নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে করোনার রেড জোন। এখানে দিনকে দিন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেইসাথে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তাই এখানকার মানুষকে গত প্রায় দুইমাস যাবত জোর করে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের অভাবী মানুষগুলো। তাদের দু:থ লাঘবে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। ফলে এতো বিপর্যয়ের পরেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসী। কারন তাদের ঘরে রাখতে দিনরাত লড়াই করে যাচ্ছেন মাহবুব হাসান জুলহাসের মতো বীর সৈনিকেরা।