নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারন সম্পাদক করে জেলা বিএনপি এবং এড. আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সাধারন সম্পাদক করে মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
যা কিনা এখন হারে হারে টের পাচ্ছেন বলেন দাবী করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বর্তমানে নেতৃত্ব সংকটের কারনে রীতিমত গন্তব্যহীণ হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।
একদিকে দুর্নীতির দায়ে দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবীতে আন্দোলন বেগবান রাখা, অপরদিকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতি নেয়া, কোন পথে হাঁটবে এখন সেটাই বুঝে উঠতে পারছেনা বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
কারন, গত ৮ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দরীয় আন্দোলনে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানকে তেমন মাঠে নামতে দেখা যায়নি। আর নাশকতার মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করে এখন সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দিয়ে জাগ্রত রাখলেও বেশীরভাগ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দরাই মামলা এড়াতে রয়েছেন আন্দোলন বিমুখ।
আর মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম ও সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল নেত্রীর মুক্তির দাবীতে আন্দোলনে তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে না পারলেও চলতি মাসের মধ্যে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মী সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েও উভয়েই চিকিৎস্বার্থে এখন বিদেশে করছেন অবস্থান। কে কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন, তা অনেকটাই অনিশ্চিত বলে জানান একাধিক শীর্ষ নেতা।
তাই আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জে মাঠ গুছানোর কাজে নেমে পড়লেও নেতৃত্ব সংকটের কারনে গন্তব্যহীণ হয়ে পড়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলে অভিমত তৃণমূলের।