নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: সদর উপজেলাধীন ফতুল্লায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাকসুদুল ইসলাম লিখন (৩০) নামে এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন পুলিশের তিন জন কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে ফতুল্লার পাগলা নিশ্চিন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মাকসুদুল ইসলাম লিখন পাগলা নুরবাগ মসজিদ এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম জানান, ‘মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভোরে পাগলা নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৫/৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে এতে সন্ত্রাসী লিখন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ধরতে গেলে ধস্তাধস্তিতে এসআই সাফিউল আলম, এএসআই তাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল রোকনুজ্জামান ওরফে রোমান আহত হন। তখন লিখনের অন্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ লিখনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলিসহ ৪২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। লিখনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা, কদমতলীসহ কয়েকটি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এব্যাপারে অভিযান চলাকালীন সময়ে সন্ত্রাসীদের ধস্তাধস্তিতে আহত ফতুল্লা মডেল থানার এসআই সাফিউল আলম বলেন, সন্ত্রাসী লিখনের বিরুদ্ধে দু’টি অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হয়েছিল। মঙ্গলবার শেষতক তাকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় পুলিশ।
এদিকে, সন্ত্রাসী লিখন গ্রেফতারের সংবাদে এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়ে পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন পাগলার নিশ্চিন্তপুরবাসী।
স্থানীয়রা বলেন, সন্ত্রাসী লিখনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ থাকলেও প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল সে। কিন্তু কথায় আছে, চোরের দশ দিন, গৃহস্থের একদিন। তাই তো পুলিশের সাথে গোলাগুলি করেও এবার শেষ রক্ষা হলো না লিখনের।
তবে আবারও যাতে আইনের ফাঁকফোকরে জামিনে বেরিয়ে লিখন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পুলিশের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।