নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: বন্দরে প্রবাসীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ছিল গৃহশিক্ষক লম্পট সোহেল ভূইয়া ও তার মা। গত সোমবার রাতে বন্দর থানায় সোহেল ভূইয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানাগেছে, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী নিপা রহমানকে (৩৫) পুড়িয়ে হত্যা করে সোহেল ভূইয়া। হত্যাকান্ডটি নিহতের ছোট ছেলে মারুফ (৮) দেখেছে বলে জানিয়েছে নিপা রহমানের বাবা আব্দুল কাদের।
গত ১৫ বছর পূর্বে বন্দর থানার আলীনগর এলাকার সৌদি প্রবাসী আতাউর মিয়ার সাথে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার দক্ষিন কুড়মিরা এলাকার আব্দুল কাদের বেপারী মেয়ে নিপা রহমানের ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর আব্দুল্লাহ ও মারুফ নামে ২টি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ (১২) এবারের পিইসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২ মাস পূর্বে প্রবাসী স্ত্রী নিপা আক্তার তার ছেলে আব্দুল্লাহকে বাসায় এসে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য বন্দর উইলসন রোড ভূইয়াবাড়ী এলাকার রহমত উল্ল্যাহ ভূইয়া মিয়ার ছেলে সোহেল ভূইয়াকে দায়িত্ব দেয়। ওই সুযোগে গৃহশিক্ষক লম্পট সোহেল প্রবাসীর স্ত্রী নিপা রহমানের উপর কুনজর দেয়।
এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সকালে নিপা রহমান বাথরুমে গেলে সেখানে ডুকে নিপা রহমানকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সোহেল। পরবর্তিতে নিপা রহমান ক্ষিপ্ত হলে তার গায়ে তারপিন ঢেলে আগুন জ¦ালিয়ে দেয় সোহেল। বাথরুমের ভিতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারত্মক ভাবে আহত হয় প্রবাসীর স্ত্রী নিপা রহমান। বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালায় সোহেল। পরে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় লম্পট সোহেল ভূইয়া ও তার মা উদ্ধার নিপাকে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ সোহেলকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।