নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণ নবীনের সমন্বয়েই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
তাদের মধ্যে, একটি রাজনৈতিক দল পরিচালনায় প্রবীণ রাজনীতিবিদদের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তেমনি আন্দোলন সংগ্রামে তরুণ নবীণদেরও ভূমিকা রয়েছে। তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগে প্রবীণ নবীণের সম্বনয়েই গঠন করা হয়েছে। যেন আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে পুনরায় ‘নৌকার’ বিজয় নিশ্চিত করতে সকলে একত্রে কাজ করতে পারেন।
জানাগেছে, গত বছরের ৯ অক্টোবর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এড. আবু হাসনাত মো: শহিদ বাদলকে সাধারন সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দীর্ঘ একবছর যাবত যাচাই বাছাই শেষে গত ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যার মধ্যে এক তৃতীয়াংশই আছেন, তরুণ রাজনীতিবিদ। জেলা আওয়ামীলীগের ৭০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ তালিকায় সভাপতি হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। সিনিয়র সহ- সভাপতি মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বাচ্চু, এড. আসাদুজ্জামান আসাদ, আরজু রহমান ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিন, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, আব্দুল কাদির, শিকদার গোলাম রসুল, আদিনাথ বসু ও খাজা রহমত উল্লাহ।
সাধারন সম্পাদক: আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক: আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর আলম, ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও ইকবাল পারভেজ।
আইন বিষয়ক সম্পাদক: এড. মাসুদ উর রউফ, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক: খলিল হাসান, ত্রান ও সম্পজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক: আলমাছ ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক: এম এ রাসেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: ইসহাক মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: শেখ সাইফুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক: রানু খন্দকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: মরিয়ম কল্পনা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক: এড. নুরুল হুদা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক: মোহাম্মদ মানজারী আলম (টুটুল), শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: ফেরদৌসী আলম নিলা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক: এস এম জাহাঙ্গির হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক: কাউসার আহমেদ পলাশ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক: নুর হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক: ডাঃ মো. নিজাম আলী।
সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন তিনজন। এরা হলেন, সুন্দর আলী, মীর সোহেল আলী, একেএম আবু সুফিয়ান।
উপ দপ্তর সম্পাদক: মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: মো. নাসির উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ: মনিরুজ্জামান মনির।
কার্যকরী সদস্য হয়েছেন ৩৪ জন। এরা হলেন, গাজী গোলাম দস্তগীর এমপি (বীর প্রতিক), নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, হোসনে আরা বাবলী এমপি, এমদাদুল হক ভুঁইয়া, আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, মাহবুবুল ইসলাম রাজন, মোশারফ হোসেন, হাজ্বী আমজাদ হোসেন, মো. মির্জা সোহেল, আবুল বাশার টুকু, সাইফুল্লাহ বাদল, মোহাম্মদ মতিউর রহমান, শওকত আলী, মাসুম রহমান, হালিম শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের ডিলার, বিএম কামরুজ্জামান ফারুক, তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, শাহজাহান ভূঁইয়া, শাহজালাল মিয়া, হেলো সরকার, অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, মহফুজুর রহমান কালাম, আব্দুর রশিদ, সিরাজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন সাজনু, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, শীলা রাণী পাল, অ্যাডভোকেট ইসহাক, শামসুজ্জামান ভাষানী, মেজর (অব.) মশিউর রহমান, সাদেকুর রহমান, মজিবুর মন্ডল, ইউসুফ ভূইয়া।