নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি, ফতুল্লা প্রতিনিধি: ফতুল্লা থেকে উদ্ধারকৃত গলাকাটা লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম আবু নাঈম (১৮)। সে কোরআনে হাফেজি শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করছিলেন। ফেইসবুকে নিহতের ছবি দেখে স্বজনরা তার লাশ সনাক্ত করে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুতুবপুরের নন্দলালপুরের কাকলী ডাইংয়ের পেছনের এলাকা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবু নাঈম মুন্সিগঞ্জের চরডুমিয়ার ব্যবসায়ী মনসুর আহম্মেদের ছেলে। তারা ফতুল্লার পিলকুনি জোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
নিহতের মা হাফিজা খাতুন জানান, রবিবার বিকেলে আবু নাঈম তার কাছে ১০০ টাকা চায়। কিন্তু টাকা না পেয়ে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফেরেনি সে। ফেসবুকে নাঈমের ছবি দেখে থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কুতুবপুরের নন্দলালপুর এলাকার কাকলী ডাইং সংলগ্ন মন্তাজ উদ্দিন সড়কে মাদক সেবীদের অত্যাচার যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ছিনতাইকারীদের উৎপাত। রাতে সড়কে আলোর ব্যবস্থা করা হলেও ইতিপূর্বে ছিনতাইকারী ও মাদক সেবীরা বাতিগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে। যার কারণে এই সড়কে মানুষ চলাফেরা করে অনেকটা আতংকে।
এ সড়কে রাতের বেলা পুলিশ টহল থাকেনা বল্লেই চলে। অপরাধীরা পাড় পেয়ে যায় অপরাধ সংগঠিত করে। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একজন পথচারী সড়কের পাশে একজন যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় আশপাশের লোকজন থানাকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিদারুল আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তাকে ঘটনাস্থলেই গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।