নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: বাদীর মৃত্যুর পর বিবাদীর লোকজন কর্তৃক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন ফতুল্লা থানাধীণ নরসিংহপুর এলাকার মৃত লোকমান হোসেনের পরিবার। নানা ভাবে হুমকি প্রদানের কারনে যে কোন সময় প্রাণনাশের শংকায় ভুগছেন বাদীর স্বজনেরা। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়েরের দুইদিন পরে মারা যাওয়া লোকমান হোসেনের আপন বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন লোকমান হেসেনের পরিবারকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য রীতিমত বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
সূত্র মতে, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৭ অক্টোবর আপন বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম, সোহান, প্রান্ত, আনোয়ারা বেগম, জরিনা বেগম ও শিমুকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লোকমান হোসেন।
অভিযোগে বাদী লোকমান হোসেন উল্লেখ করেন, বিবাদীরা আপন ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী এবং ভাতিজাদের সম্পত্তি নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ষড়যন্ত্র করে আসছিল। তারা আমাদেও ক্ষতি করার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছিলো। ১৭ অক্টোবর আমাদের বাড়ি মাপার তারিখ নির্ধারণ ছিলো। সেই মতে আমরা আমিন আনি কিন্তু আমিন দেখার পর বিবাদীরা আমাদের সাথে ঝগড়া করা শুরু করে। এক সময় আমাদেরকে এলোপাথারি মারধর আরম্ভ করে। তখন আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদেরকে রক্ষা করে।
বাদী লোকমান হোসেনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ দায়েরের মাত্র দুদিন পর বাদী লোকমান হোসেন মারা যায়। আর এই সুযোগে বিবাদী সিরাজুল ইসলামসহ অপর আসামীরা মামলা উঠিয়ে নিতে লোকমানের পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। বিবাদীদের এই হুমকিতে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে লোকমানের পরিবার। তাই এই অসহায় পরিবারটিকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
সূত্র মতে, বিবাদী সিরাজুল ইসলাম বহু দিন ধরে দক্ষিন নরসিংপুর এলাকায় জমির ব্যবসা শুরু করে। আর এই ব্যবসা শুরু করার পর পর সে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে আর নামে বে-নামে জমি জবর দখল করে। আর তার এই কাজে সাহায্য করে কাশিপুর ইউপি’র সাবেক এক চেয়ারম্যান। মুলত এই সাবে চেয়ারম্যানের ইন্ধনে সিরাজুল ইসলাম দিন কে দিন বেপোরোয়া হয়ে উঠে। সিরাজের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে। জজ মিয়ানামের এক লোকের জমি জোর করে দখল করে নেয়, ফয়ছাল নামের এক লোকের জমিও সে জোর করে দখল করে। হালিমা নামে প্রবাসী এক মহিলা ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনে, জমি কিনার পর সে বিদেশ চলে জায় কিন্তু চতুর সিরাজ মিয়া টাকা খেয়ে সেই জমি সে টুটুল কে বুঝিয়ে দেয়। হালিমা বেগম শেষ সম্বল হিরিয়ে এখন পথের ফকির। তাই এই ভুমিদ্যসু সিরাজ কে আইনের আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামালউদ্দিন নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডিকে বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।