নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে ফাঁসাতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উল্টো পুলিশেরই একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কে যেতে হয়েছে শ্রীঘরে। পাশাপাশি তার ফ্ল্যাট বাসা ও কর্মস্থল থানার ভেতর থেকে ৪৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাতে বন্দর উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই আলম সরোয়ার্দী রুবেল। এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, বন্দর থানায় পূর্বে চাকুরী করার সুবাদে বুধবার রাতে রূপালী আবাসিক এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আরিফের বাসায় সাদা পোশাকে যান সদর মডেল থানার এএসআই আলম সরোয়ার্দী রুবেল। পরবর্তীতে তিনি আরিফের স্ত্রী সাবিনা আক্তার রুনু (২৫) কে ৫শ’ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দিবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবী করেন এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন। তখন সম্মান বাঁচাতে রুনু তাৎক্ষনিক সোহরাওয়ার্দীকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে কৌশলে ডিবি পুলিশকে সংবাদ জানালে ঘটনাস্থলে এসে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ ৫ লাখ টাকা উদ্ধারসহ এএসআই সরোয়ার্দীকে গ্রেফতার করেন।
এসময় রূপালী আবাসিক এলাকায় এএসআই সরোয়ার্দীর ফ্ল্যাট বাসায় তল্লাশী চালিয়ে ৪৪ হাজার পিস ইয়াবা এবং সদর মডেল থানার ভেতরে তার ব্যাগে তল্লাশী চালিয়ে আরো ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ডিবি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিবির পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মাজহারুল ইসলাম নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডিকে জানান, ‘সদর মডেল থানার অভিযুক্ত এএসআই সরোয়ার্দীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ সুপার মহোদয়ের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
অভিযোগ রয়েছে, এএসআই সোহরাওয়ার্দী মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। সদর মডেল থানায় চাকুরীকালীন সময়ে তাকে রাতের বেলায় ডিউটি দেয়া হলে তিনি কাজে ফাঁকি দিয়ে অন্যত্র চলে যেতেন। এই ঘটনায় থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক জিডিও হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।