নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সভাপতি প্রার্থী এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী এড. মোহসীন মিয়ার বিজয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. খোকন সাহা তাদের প্রভাবশালী সাংসদ বন্ধু শামীম ওসমানের অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় আলাপকালে এমনই মন্তব্য করেন বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
তারা বলেন, ‘নির্বাচনের শুরুতে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল এবং সাধারন সম্পাদক পদে এড. মোহসীন মিয়াকে শামীম ওসমানের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রার্থীতা করার ব্যাপারে এড. আনিসুর রহমান দিপু ও এড. খোকন সাহার কিছুটা দ্বিমত থাকলেও শামীম ওসমানের ঘোষণা অনুযায়ীই জুয়েল-মোহসীনের নেতৃত্বে প্যানেল গঠন হওয়ার পর তাদের নিস্ক্রিয়তায় অনেকেই ভেবেছিলেন যে, দিপু আর খোকন সাহা সম্ভবত জুয়েল-মোহসীনের পক্ষে নেই। কিন্তু শেষতক খোদ শামীম ওসমানই নির্বাচনের আগমুহুর্তে বারে এসে সেই ভ্রান্ত ধারনা দূর করে দেন। আর জুয়েল-মোহসীনকে বিজয়ী করতে আইনজীবীদের অভিভাবক দিপু ও খোকন সাহাকে দায়িত্ব অর্পণ করে যান। এরপর থেকেই পাল্টাতে থাকে দৃশ্যপট। জুয়েল-মোহসীনের বিজয় নিশ্চিতে কাজ শুরু করেন দিপু-খোকন। আর নিশ্চিত করেন দলীয় প্যানেলে সভাপতি হিসেবে জুয়েল ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে মোহসীনের বিজয়।’
জানাগেছে, গত ২০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল এবং সাধারন সম্পাদক প্রার্থী এড. মোহসীন মিয়ার পক্ষে এড. আনিসুর রহমান দিপু ও এড. খোকন সাহার তেমন প্রচরনা করতে না দেখে একধরনের ভ্রান্ত ধারনা সৃষ্টি হয় আইনজীবীদের মাঝে। কেউ কেউ ভাবতে শুরু করেন, হয়তো দিপু ও খোকন সাহা নীরবে থেকে বিএনপি প্যানেলকে সহযোগিতা করছেন।
কিন্তু না, গত ২৮ জানুয়ারী আদালত পাড়ায় এসে শামীম ওসমান সেই ভ্রান্ত ধারনা দূর করে দেন খোদ নিজেই। তিনি জুয়েল ও মোহসীনকে দিপু ও খোকনের পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন,‘ নির্বাচনে দিপু ও খোকনকে চুপ থাকবে আমিই বলেছিলাম। আমি দেখতে চেয়েছিলাম এতে বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা কি করে। কিন্তু না, আ ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। এখানে আমার আগেই আসা উচিত ছিল। জুয়েল-মোহসীন যেহেতু আওয়ামীলীগের প্রার্থী, তাই তাদের প্যানেল বিজয়ী করার দায়িত্ব এখন দিপু ও খোকনের।’
এরপর জুয়েল ও মোহসীন দিপু এবং খোকন সাহার পায়ে ধরে দোয়া কামনা করেন। তখন দিপু ও খোকন সাহা তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করার পাশাপাশি তাদের বিজয় নিশ্চিতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
যারফলে নির্বাচনের দিন ৩০ জানুয়ারী আওয়ামীলীগের নেতৃবন্দরা বেশীরভাগই ফটোসেশনের ব্যস্ত থাকলেও লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকে জুয়েল-মোহসীনের জয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়, সেই লক্ষেই কাজ করে যান দিপু-খোকন।