নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: এবার আর রাত জেগে বসে থাকতে হবে না নারায়ণগঞ্জবাসীকে। বোমার বিকট শব্দেও আর প্রকম্পিত হয়ে আর লাফিয়ে উঠতে হবে না ঘুমন্ত নগরবাসীকে। বাবা-মায়ের হাত ধরে শীতের রাতে হাতে পতাকা নিয়ে যেতেও হবে না আর কাউকে বিজয়স্তম্ভে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রথমে বীর শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে এবং বিজয়ের উল্লাসে যেভাবে মেতে উঠতো রাতের চাষাড়ায় সাধারন মানুষ, সেটা এবার আর হচ্ছে না নারায়ণগঞ্জে।
কারন এই প্রথম ৪৬ তম মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহরের চাষাড়াস্থ বিজয় স্তম্ভে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানোর সময়সূচী পরিবর্তন করে তা নির্ধারন করা হয়েছে প্রভাতে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভোর সাড়ে ৬টায় চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে বীর শহীদদের প্রতি জেলা প্রশাসক মো: রাব্বী মিয়ার শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবছরের বিজয় দিবসের কর্মসূচী। বিশালাকৃতির বোমা বিস্ফোরনের মাধ্যমে ৩১ বার তোপধ্বনি বাজানো হবে।
এরপর থেকে জেলা পুলিশ প্রশাসন, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
কিন্তু প্রতি বছর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২ টা ১ মিনিটে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বিজয় উল্লাসে মেতে উঠলেও এবছর কেন এই সময়সূচী পরিবর্তন করা হয়েছে, এব্যাপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডেপুটি নেজারত কালেক্টর (এনডিসি) জ্যোতি চন্দ্র বিকাশ নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডিকে জানান, ‘এবছর বিজয় দিবসে প্রথম প্রহর রাত ১২ টা ১ মিনিটের পরিবর্তে প্রভাতে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ আয়োজনের জন্য মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা এসেছে। তাই এবছর রাতের পরিবর্তে ভোর সাড়ে ৬ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’
তাহলে নিরাপত্তা জনিত কারনে কি এবছর সময়সূচীর পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা, এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরো জানান, ‘সারা দেশেই এবছর প্রভাতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের আয়োজন করা হযেছে।’