নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে নেচে গেয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা করেছে নারায়ণগঞ্জের সনাতন ধর্মালম্বীরা।
সোমবার (১৪ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের ডিআইটি ডায়মন্ড সিনেমা হলের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে থেকে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে নগরীতে এই বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো: রাব্বী মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার মো: মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কল্যাণ ট্রাস্ট জেলা সভাপতি পরিতোষ কান্তি সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি শংকর সাহা, সাধারন সম্পাদক সুজন সাহা, নারায়ণগঞ্জ মহাশ্মসান কমিটির সভাপতি নিরঞ্জন সাহা, উপদেষ্টা বাসুদেব চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি কমান্ডার গোপীনাথ দাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য এহসানুল হক নিপু, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমীন হাবিব বিন্নি সহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দরা।
এদিকে, সকাল ৮টার পর থেকেই জেলা ও নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড র্যালী নিয়ে ডিআইটিতে এসে জড়ো ভক্তরা। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ নারী পুরুষ সকলেরই মিলন মেলা ঘটে শোভাযাত্রাতে।
এরপর সকাল সাড়ে ১০ টায় অনুষ্ঠানস্থলে এসে সাংসদ শামীম ওসমান উদ্বোধনের পর নগরীতে বের হয় জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা।
কিন্তু শোভাযাত্রাটি কিছুদূর না এগোতেই মষুলধারে বৃষ্টি নামে। এরপর বৃষ্টি ভিজেই আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে নিতাইগঞ্জ দিয়ে প্রবেশ করে ডাইলপট্টী, টানবাজার, কালীরবাজার, খানপুর মেট্টো হল মোড় হয়ে চাষাড়া বিজয়স্তম্ভ ঘুরে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া বিভিন্ন মন্দির এলাকা থেকে আগত সনাতন ধর্মালম্বীরা তাদের স্ব-স্ব গন্তব্যে চলে যায়।
তবে বৃষ্টির কারনে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছিল শোভাযাত্রায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, কংস, মহাদেব, বাসুদেব-দেবকীসহ বিভিন্ন রূপে সজ্জিত হয়ে আসা ব্যাক্তিদের। কেননা, শোভাযাত্রার পুরো সময় বৃষ্টি হওয়ার কারনে বিভিন্ন রূপে সজ্জিত অবস্থায় ভ্যান গাড়ীতে দাঁড়িয়ে থাকা এদের আর কোথাও দোঁড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু তারপরেও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।
কারন শুভ জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে নগরী জুড়ে নেয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা যেকোন ধরনের নাশকতা রোধে মাঠে তৎপর ছিলেন।