নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: দিনভর কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো বা ক্ষনিকের জন্য থেমে আবারো ভারী আকারে বৃষ্টিপাতের কারনে বিড়ম্বনায় দিনভর শীতে কাঁবু হয়ে থাকতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
বিশেষ করে রাস্তাঘাট, রেল ও লঞ্চ ষ্টেশনে জীবনযাপন করা ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের সবচেয়ে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকবে। তারপরেই শীত বেঁকে বসবে নগরীতে। যার ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে অসহায়রা যেমন কেউ ছেড়া ছালা গায়ে মুড়িয়ে, কেউবা আগুনে তাপ দিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন যখন যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিন্মচাপের কারনে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এমনই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
এদিকে, শীতকালের আগমুর্হুতে এমন বৃষ্টিপাতের কারনে শীতে কাঁবু হয়ে সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেতে হয়েছে রিকশা চালকদের। কারন, পেটের তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই যে তাদের রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে।
এছাড়াও দিনভর বৃষ্টির কারনে শীতকালের পূর্বেই শীতের উষ্ণতা নিতে অনেকেই বাড়ীতে বসে সময় কাটিয়েছেন বলে জানান, বেশ কয়েকজন সরকারী চাকুরীজীবি।
এদিকে, দুপুরে বৃষ্টি চলাকালীন সময় নগরীর চাষাড়া এলাকায় কথা হয় রিক্সা চালক মোসলেম মিয়ার সাথে। তিনি নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডিকে জানান, নগরীর ২নং বাবুরাইল এলাকায় একটি টিনসেড বাড়িতে এক ছেলে দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বসবাস করেন। বাইরে একদিকে বৃষ্টি, আরেক দিকে শীতের প্রকোপ অনুভব করতে পারলেও পেটের তাগিদে মাথায় কাগজ মুড়িয়েই ভোর সকালে রিক্সা নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়েছিল তাকে নগরীতে।
আর শীতে কাঁবু নগরীর চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় রেল ষ্টেশন এলাকার ছিন্নমূল পথ শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা শীতের মৌসুমে বৃষ্টির কষ্ট লাঘবে আগুন পোহাচ্ছে। আর শিশুরা আক্ষেপ করে প্রলেপ বকছে, ভাই গো আমাগো গরম কাপড় অহনো কেউ দেয় নাই। শীতে কাঁপতাছি আর বৃষ্টিত ভিজতাছি।