নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নারায়ণগঞ্জ ১শ’ শয্যাবিশিষ্ট ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা সাধারন রোগীরা প্রতিদিন নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ তাদের। অত্র হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে তারা বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দ্বারা নানা ধরনের সমস্যায় পরছেন।
ডাক্তার দেখিয়ে রোগীরা ঔষধ ক্রয়ের জন্য হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পূর্বেই রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করেন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। কেউ কেউ আবার তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দ্বারা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এর ছবি তোলার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়েন মহিলা রোগীরা। পরবর্তীতে তাদের দল বেধে হাসপাতালের মূল গেইটের ভেতরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় সরেজমিন ঘুরে এমনই চিত্রদেখা গেছে। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সেই সব দৃশ্যের ছবি তুলতে গেলে নাভানা ঔষধ কোম্পনীর (এম ও) রিমন এসে তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং বলেন, ‘আমাদের ছবি তুইলা কোন লাভ হবে না’ আমরা সবকিছু ম্যানেজ করে এখানে আসি।
জানা যায় রিমন এর পিতা নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে সুবেদারের চাকুরী করেন। পরবর্তীতে জেনারেল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি সায়েম এসে দাপটের সাথে এ বিষয়ে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন।
ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের এহেন আচরনেখুব সহজেই বোঝা যায় তারা সাধারন রোগীদের সাথে কি ধরনের আচরন করতে পারেন। এদের বিরুদ্ধে অত্র হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও তারা হাসপাতালের কতিপয় অসাধু কর্মচারীদের ম্যানেজ করেই কোন নিয়মনীতি ছাড়াই হাসপাতালের ভেতরে যত্রতত্র প্রবেশ করেন এবং রোগীদের বিভ্রান্ত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অত্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারন রোগীরা জানান, আমাদের মা বোনেরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে এসব ঔষধ কোম্পনীর প্রতিনিধিদের হাতে অনেকটা নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। তারা হাসপাতালের ভেতরে ডাক্তারদের রুমের সামনে দাড়ানো মহিলা রোগীদের হাত থেকে প্রেসক্রিপশনগুলো জোর করে নিয়ে ছবি তোলেন। এতে করে মহিলা রোগীরা বিভ্রান্তি বোধ করেন।
ঊল্লেখ্য, বেসরকারী এসব ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের রোগীদের প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলার কারনে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে এবং রোগীদের প্রাইভেসী থাকে না, বিধায় গত ১৬ মার্চতারিখে চট্রগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত চিঠিতে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: এহসানুল হকের নিকট ফোন করলে তিনি ব্যস্ত থাকায় মুঠোফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।