নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি, ফতুল্লা প্রতিনিধি: ফতুল্লা ইসদাইর এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুসলিম পরিবারের কন্যা সুমী আক্তার (ছদ্মনাম) কে বিভিন্ন সময় বেশ কয়েক বার ধর্ষন করেছে সনাতন (হিন্দু) ধর্মালম্বী লম্পট চঞ্চল চন্দ্র সরকার। এঘটনায় চঞ্চলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হলে পুলিশ প্রতারক ধর্ষক চঞ্চলকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন চৌধুরীবাড়ি এলাকার শরফুদ্দিন(৫৮) ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫৫)ও তার সন্তান নিয়ে ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় ভাড়া থাকে। একই বাড়িতে ভাড়া থাকে চঞ্চল চন্দ্র সরকার ও তার পরিবার। চঞ্চল (৪০) সাথে শরফুদ্দিনের মেয়ে সুমী আক্তারের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। একপর্যায় চঞ্চল চন্দ্র সরকার গত বছর ২০১৬ইং সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট এলাকায় সুমীকে নিয়ে যায়। এরপর একটি কাগজ এনে চঞ্চল বলে আমি মুসলামান হয়ে গেছি। তুমি স্বাক্ষর দাও তাই সুমী না বুঝে সে স্বাক্ষর করে ।
এসময় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন যুবকও ছিলো তার সাথে। সেই দিন হতে ২০১৭ ইং সালের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েক বার সুমীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ধর্ষন করে আসছে। এই ঘটনা স্থানীয় লোকের মধ্যে জানাজানি হলে বিয়ের কাবিন নামা এবং মুসলমান হওয়ার সনদ চায় চঞ্চল এর কাছে কিন্তু চঞ্চল তা দেখাতে ব্যর্থ হয় ।
এরপর সুমীর মা নুরজান বেগম ও এলাকাবাসী প্রতারক চঞ্চলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। পরে নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় প্রতারক চঞ্চলের বিরুদ্ধে ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে ।
পুলিশ জানান, লম্পট চঞ্চল বগুড়া জেলার ধনট থানার সরকার পাড়া এলাকার সুশীল চন্দ্র সরকারের ছেলে । সে ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে নুরজাহানের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সম্পর্কের পরে ভিকটিম জানে সে হিন্দ্ ু।