নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: বাংলাদেশ রেলওয়ের নারায়ণগঞ্জ আর.এম.এস বিল্ডিং সংলগ্ন দক্ষিন পার্শ্বে সিরাজদৌলা রোডের পূর্ব পার্শে¦ লিজকৃত প্রাপ্ত ৩৫ বছরের পুরানো ৪টি দোকান ঘর অবৈধভাবে উচ্ছেদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী ব্যাক্তিরা।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগীরা জানান, দক্ষিনে রেলওয়ে রোডের পূর্ব পার্শ্বে রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টারের বাংলো-টি/১৩ এর দেয়াল পশ্চিমে সিরাজদ্দৌলা রোড হইতে আনুমানিক ৪-৫ ফিট পূর্ব দিকে অবস্থিত এই চৌহদ্দীতে সফি উল্লাহ মোল্লা, কানিজ মিনহাজ, মোঃ কাইয়ূম হোসেন ও অজিত কুমার গং এর ৪টি দোকান ঘর রয়েছে। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লীজ নিয়ে চলমান নীতিমালা নামীয় লাইসেন্সের চুক্তিপত্র নিয়ম অনুযায়ী বাৎসরিক লিজ মানি পরিশোধের মাধ্যমে লীজ নবায়ন করিয়া ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে পরিবার-পরিজন নিয়া জীবন যাপন করিতেছে।
এমতাবস্থায় উক্ত দোকানঘর মসূহ নিয়ম বর্হিভূত:ভাবে রেলওয়ের একশ্রেণীর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগসাজে করিয়া অবৈধভাবে এন. আসলাম মাকের্টের প্রতিষ্ঠাকারী মোঃ নজরুল ইসলাম অনেক চেষ্টা তদবির করে কৃষি লাইসেন্স গ্রহন করিয়া অবৈধভাবে তাদেরকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করিতেছে। বিভিন্ন সময়ে নজরুল ইসলামতাহার অবৈধ মার্কেটের সীমানা বৃদ্ধির লক্ষে তাদের দোকানঘরগুলো উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এ কাজে রেলওয়ের এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করছে। রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীগন টি/১৩ হইতে ৪১ ফুট দুরের কৃষি লাইসেন্স গ্রহন করিয়া ও টি/১৩ এর অভ্যন্তরে (যাহা বিধি বহিভূত:) তাহারা এন ইসলাম মার্কেট স্থাপিত করেন।
এ সময় তারা দাবি করে আরো বলেন, আমাদের বৈধ লাইসেন্স থাকা সত্বেও এবং বৈধ সীমানায় দোকান ঘরগুলো থাকিলেও সেগুলো অবৈধ আখ্যা দিয়ে সিটি করপোরেশনের রাস্তার অজুহাত দেখিয়ে চক্রান্তকারী এন. ইসলাম মার্কেটের মালিক মোঃ নজরুল ইসলাম রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের অবৈধ আর্থিক সুবিদা প্রদান করিয়া আমাদের পিছনে লেলাইয়া দিয়েছে। যাহা নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি রেলওয়ে মন্ত্রানালয়ের নিকট।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভূক্তভোগী দোকান মালিক মোঃ সফিউল্লাহ মোল্লা, কানিজ মিনতাজ, মোঃ কাইয়ূম হোসেন, অজিত কুমার রায়, মোঃ হোসেন, তাপস ও মোঃ হানিফ।