নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ৪৬ নং মোবারক শাহ রোড ১নং বাবুরাইল এলাকার মান্নান মিয়া নামের এক ক্ষুদ্র হোসিয়ারী ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে স্থানীয় এলাকার সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মান্নান মিয়ার স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামী জুম্মন (২৮) নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
শহরের দিগুবাবুর বাজার এলাকা থেকে সদর থানার (এএসআই) সুব্রত জুম্মনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত জুম্মন মোবারক শাহ রোড ১নং বাবুরাইল এলাকার আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃত জুম্মনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৬/৭টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
মামলার অপর আসামীরা হলেন, স্থানীয় এলাকার মৃত- আশ্রাফ উদ্দিনের দুই খোকন (৩৫) মাইনুদ্দিন মিয়ার দুই ছেলে মিন্টু (২৭) ও রিয়াজ (৩৫), লেদু মিয়ার ছেলে রাসেল (২৮) সহ অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জন।
এর আগে গত বুধবার (১৪ জুন) সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে ১নং বাবুরাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ঘটনার স্বীকার মান্নান মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম বাদী হয়ে এর পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনের নামে একটি মামলাদায়ের করেন। মামলা নং-৩১, তারিখ-১৫/০৬/২০১৭ইং।
মামলার বিবরনে লাবলী বেগম জানান, তার স্বামী একজন ক্ষুদ্র হোসিয়ারী ব্যবসায়ী। গত ১৪ জুন সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে তার কর্মস্থল থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ১নং বাবুরাইল তাদের নিজ বাসার কাছে পৌছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত সন্ত্রাসীরা তার স্বামীর পথরোধ করে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের হাতি থাকা লোহার রড, লাঠি দিয়ে মাথায় ও শরীরে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মাটিতে ফেলে রাখে। তার ডাকচিৎকারে তার দেবর মুকুল এগিয়ে গিয়ে বাধা দিতে চাইলে তাকেও কিল ঘুষি মারতে থাকে। এমতাবস্থায় আমার ছেলে শামীম তার বাবা ও চাঁচাকে মারতে দেখে কান্নাকাটি শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) প্রবীর কুমার রায় জানান, এই মামলার প্রধান আসামী জুম্মনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।