নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি কর্তৃক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির শেষ সময়ে এসে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
দুই মাস ব্যাপী চলা কর্মসূচির প্রায় পুরোটা সময় বিলাসবহুল এসি রুমে বসে কর্মূসূচির ফটোসেশন করলেও শেষ পর্যায়ে এসে তারা ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে রাজপথে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন এবং কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছেন বলে মনে করে তৃণমূল।
কেননা, গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দলীয় নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর।
তাই নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে তৃণমূল মনে করে, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকার ফলে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের অবস্থাও নাজেহাল। সরকারী দলের মামলা হামলায় জর্জরিত হয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে যাযাবর জীবন যাপণ করছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাঠ পর্যায়ের এসব তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ণ কর্মসূচ ঘোষনা করেছে বিএনপি।
সদস্য সংগ্রহ ও নাবায়ণ কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতা এনে ঢাক ঢোল পিটিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. আবুল কালাম ও সেক্রেটারী এটিএম কামাল। কিন্তু বেলুনের হাওয়া বের হওয়ার মতো এর পরেই ঝিমিয়ে পরেন তারা। মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গিয়ে তৃণমূলকে সংগঠিত করে কর্মসূচি সফল করার পরিবর্তে তারা চারদেয়ালে বন্দি করে ফেললেন নিজেদের। মাঝে মাঝে উচু দালানের আয়েশী ঘরে বসে বক্তব্য বিবৃতি আর ফটোসেশসে দায় সেরেছেন আবুল কালাম ও এটিএম কামাল। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, ‘রাজপথের লড়াকু সৈনিক’ নামে পরিচিত এটিএম কামালও আবুল কালামের ছত্রছায়ায় নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেন।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এই সময়ে নারায়ণগঞ্জের হাট-ঘাট-মাঠ চষে বেড়িয়েছেন মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। এর জন্য কালাম-কামালদের কাছ থেকে বহু বাঁধারও সম্মুখীন হয়েছেন সাখাওয়াত, কালামের পা চাটা টিপুকে দিয়ে চালিয়েছেন নানা অপপ্রচার। কিন্তু কোন কিছুই দমাতে পারেনি সাখাওয়াতকে। নিন্দুকের সকল বাঁধার প্রাচীর পেরিয়ে তিনি এগিয়ে গেছেন তার অভীষ্ট লক্ষ্যে।
আগষ্টের ৩১ তারিখে শেষ হওয়া এই কর্মসূচির প্রায় একেবারেই শেষ মুহুর্তে এসে গর্ত থেকে বের হয়েছেন আবুল কালাম ও এটিএম কামাল। শুরুর হাঁক-ডাকের মতো শেষ সময়ে এসে ঢাক ঢোল পিটিয়ে আবারো শুরু করেছেন মাঠে ময়দানে দৌড় ঝাপ। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও ইউনিয়নে গিয়ে পালন করছেন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ণ কর্মসূচি। কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যেই তাদেও এই হঠাৎ লম্ফঝম্ফ বলে জানিয়েছে তৃণমূল। অনেকটা স্কুলের প্রথম ক্লাসে নাম ডাকার পর শেষ ক্লাসে এসে হাজিরা দিয়ে যাওয়ার মতো।