নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: দিবাগত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সর্বস্তরের শ্রেণী পেশার মানুষের যেই অর্পিত ফুলের শ্রদ্ধায় বিমোহিত হয়েছিল ভাষা বীররা, বেলা গড়াতেই সেই শ্রদ্ধাঞ্জলীর ফুল গুলো মানুষের পদতলে পিষ্ট হয়ে পরিবেশ হলো নোংরা।
যা দেখে সচেতন নাগরিকরা মন্তব্য করেন, ‘তবে কি ক্ষণিকের জন্যই জানানো হয় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা? এইভাবে অসম্মানিত হতেই কি রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে সেই সময় বুকের তাজা রক্ত ঝঁড়িয়ে ছিল একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ৫২’র ভাষা বীররা? এ কেমন প্রজন্ম? শহীদদের সম্মানে উৎস্বর্গকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলী সকালে অর্পণ করে বিকালে আবার তা পদতলে করছে পিষ্ট।’
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে নগরীর চাষাড়াস্থ কেন্দ্রীয় পৌর শহীদ মিনারে ভাষা বীরদের স্মরণে দিবাগত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, রাজনীতিবিদসহ জনসাধারন।
কিন্তু এইদিন সকাল অবদি ভাষা বীরদের প্রতি জনসাধারনের সম্মান জানানোর হিড়িক পড়ে গেলেও বিকেলের পরেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। শহীদ মিনারের বেদিতে থাকা শ্রদ্ধাঞ্জলীর ফুল গুলো সেখান থেকে উপড়ে ফেলার পাশাপাশি পদতলে পিষ্ট করে কিছু উশৃংখল মানুষেরা।
এই দৃশ্য দেখে তখন জনৈক গৌতম সাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চাষাড়া শহীদ মিনারে শহীদদের জানানো শ্রদ্ধার ফুল পদদলিত। একুশের প্রথম প্রহরে ও সকালে শ্রদ্ধা আর সন্ধ্যায় সেই ফুলের তোরা ভেঙ্গেচুরে পদদলিত, এ কেমন জাতি আমরা। অন্তত একটা দিন শহীদদের জানানো সম্মান সংরক্ষিত করতে পারলাম না আমরা। এমন শ্রদ্ধা জানাতে ঘৃনা হয়, যেই শ্রদ্ধা একদিনের জন্য হলেও রাখতে পারবো না। যাদের আত্মত্যাগে আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পাড়ি, লিখতে পাড়ি, তাদের সারা বছর আমরা কোনরকম স্মরণ করি না। আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনেও এভাবে শহীদদের অসম্মান করছি।’
এরপর বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) শহীদ মিনার থেকে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলী গুলো তুলে নিয়ে যায় নাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।