নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার প্রতিবাদে আহূত বিক্ষোভ কর্মসূচী এবার যথাস্থানে পালন করতে পারলো না নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি।
পুলিশের ভয়ে পূর্বনির্ধারিত স্থান ত্যাগ করে কর্মসূচী পালন করতে হয়েছে তাদের অন্যত্র গিয়ে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের নির্ধারিত স্থান থাকলেও পুলিশের চাপে গ্রেফতার এড়াতে সেই কর্মসূচী বন্দর গিয়ে পালন করতে হয়েছে নেতৃবৃন্দদের।
তবে কষ্ট হলেও গ্রেফতার ভয় উপেক্ষা করেই এসিরুম পরিত্যাগ করে বন্দরে গিয়ে সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম।
আর বিকেল ৪ টায় শহরের চাষাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের স্থান থাকলেও সেখানে আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখে ঝামেলা এড়াতে নেতৃবৃন্দরা চাষাড়া বালুর মাঠ সড়কের গলিতে তিতাস গ্যাস কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে।
তবে স্থান পরিবর্তন করে গলির ভিতর কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করলেও বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ছিলেন অনুপস্থিত। মূলত তিনি অসুস্থ্য থাকায় নাকি এদিন কর্মসূচীতে উপস্থিত থাকতে পারেন নি বলে সমাবেশে জানান, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
এরআগেও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পুলিশের ধাওয়া দেখে দ্রুত মোটর সাইকেলে পালিয়ে গিয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান।
এরপর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোযানা জারির প্রতিবাদে আহূত বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েও কেন্দ্রের অজুহাত দেখিয়ে সমাবেশ স্থগিত করে বিতর্কের জন্ম দেয় জেলা বিএনপি।