নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার আসমীদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানীর জন্য বেঞ্চ পুনগর্ঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বুধবার (১৭ মে) হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ এ তথ্য জানান।
সাব্বির ফয়েজ বলেন, এ বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানীর জন্য বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন বিষয়টি শুনানীর জন্য বেঞ্চের কার্য তালিকায় আসবে। পরে আদালত শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ।
সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। এই দুই মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ গত ১৬ জানুয়ারী রায় দেন। রায়ে সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাবের বরখাস্ত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। মামলায় ৩৫ জন আসামীর মধ্যে অপর নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। এরপর বিচারিক আদালতের রায় ও নথি গত ২২ জানুয়ারী হাইকোর্টে পৌঁছায়, তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
সূত্র বলেছে, বিচারিক আদালতের রায়ের পর প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। এরপর তা প্রস্তুত করে মার্চের শেষ দিকে ছাপার জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হয়।
গত ৭ মে তা হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। ডেথ রেফারেন্স শুনানীর পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরি হয়। এ ছাড়া শুনানীর পূর্বপ্রস্তুত হিসেবে পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ বিষয়ে আদেশের জন্য ডেথ রেফারেন্স দুটি হাইকোর্টের অপর এক বেঞ্চে ওঠে। গত ১৬ মে হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চ পলাতক পাঁচ আসামীর জন্য সাত দিনের মধ্যে আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) নিয়োগ দিতে বলেন।
ওই পাঁচ আসামী হলেন সৈনিক (অব্যাহতি) মো. মহিউদ্দিন মুন্সি, সৈনিক (অব্যাহতি) আলামিন ওরফে শরিফ, সৈনিক (অব্যাহতি) তাজুল ইসলাম, সানাউল্লাহ ওরফে সানা ও ম্যানেজার শাহজাহান।