নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: হাইকোর্টের কার্য তালিকায় উঠেছে নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় হত্যা মামলায় আসামীদের ডেথ রেফারেন্স।
বুধবার (১০ মে) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় দুটি ডেথ রেফারেন্স এক ও দুই নম্বর ক্রমিকে আদেশের জন্য রয়েছে। এই দ্বৈত বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ‘রাষ্ট্র বনাম লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ এবং ২৫ অন্যান্য’ নামে এক নম্বরে ক্রমিকে ৩/২০১৭ এবং দ্বিতীয় ক্রমিকে ৪/২০১৭ নম্বর ডেথ রেফারেন্স রয়েছে।
ওই মামলায় আসামীদের ডেথ রেফারেন্স শুনানী পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে পেপারবুক তৈরি হয়েছে, যা গত ৭ মে সরকারি ছাপাখানা থেকে হাইকোর্টের সংশ্ল্ষ্টি শাখায় এসে পৌঁছায়।
একটি সূত্র জানায়, শুনানীর পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলায় পলাতক আসামী বা যাঁরা আপিল করেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য সাধারণত ডেথ রেফারেন্স এ পর্যায়ে আদালতে পাঠানো হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। এই দুই মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ গত ১৬ জানুয়ারী রায় দেন। রায়ে সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্ত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। মামলায় ৩৫ জন আসামীর মধ্যে অপর ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারান্ড দেওয়া হয়। এরপর বিচারিক আদালতের রায় ও নথি গত ২২ জানুয়ারী হাইকোর্টে পৌঁছায়, তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
সূত্র বলেছে, বিচারিক আদালতের রায়ের পর প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। এরপর তা প্রস্তুত করে মার্চের শেষ দিকে তা ছাপার জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হয়। ৭ মে তা হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। ডেথ রেফারেন্স শুনানীর পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরি করতে হয়। পেপারবুকে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, জব্দ তালিকা, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও নিম্ন আদালতের রায় পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ থাকে।