নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি, বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম (সিএসডি)র খাল পুরোটাই অবৈধ দখলে চলে গেছে। অবৈধ দখলকারীরা দোকানপাট, গোডাউন, মার্কেট তৈরী করেছে কয়েক কোটি টাকা মুল্যের এ জমিতে। সব দেখেও নিশ্চুপ সিএসডি কতৃপক্ষ। এদিকে অবৈধ দখলদারদের দাবি তারা প্রতি মাসে সিএসডিকে নির্ধারিত হারে ভাড়া দিচ্ছে। সিএসডির এমন কোন সরকারী কোষাগার নেই যে, খালের ভাড়ার টাকা জমা হবে। তাহলে এইটাকা যাচ্ছে কোথায়? এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানায়, বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানী এলাকায় অবস্থিত সিএসডির খালটি দীর্ঘদিন সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও কাগজপত্রে দেখা গেছে খালটি সিএসডির নিজস্ব হিসেবে রেকর্ডভুক্ত।
এখানে প্রায় ২ একর মুল্যবান সম্পত্তি রয়েছে যার মুল্য কয়েক কোটি টাকা হবে। সিএসডির মূল বাউন্ডারীর বাইরে হলেও এর রক্ষনাবেক্ষন সিএসডি কতৃপক্ষের হাতেই। সম্প্রতি বিভিন্ন শ্রেণীর লেঅকজন হরিলুটের মতো খালটি দখল করে নিয়েছে। তৈরী করেছে দোকানপাট, মার্কেট গোডাউন। একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার কিছু অর্থ লোভী ব্যক্তিরা সরকারি খাল দখল করে দোকার নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিএসডি’র কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি খালটি কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে কোন বাধা দিচ্ছে না। এ সকল দোকানপাটে প্রতিনিয়তই চলছে জুয়ার আসর, মাদক সেবন ও মাদক বেচা কিনার ধুম। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইস্পাহানি ঘাট হতে বাজার পর্যন্ত সিএসডির সরকারি খাল দখল করে ৫০ থেকে ৬০ টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ দোকান এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও নামধারি আওয়ামীলীগ নেতাদের দখলে।
এ ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায়, ইস্পাহানি এলাকার জসিম উদ্দিন মিয়ার দখলে রয়েছে ৫/৬টি দোকান, রমজান মিয়ার ২টি, রাহাত মিয়ার ১টি, ১টি অটোরিকসার গেরেজ ও ১টি ফার্নিচারের দোকান, রায়হান মিয়ার একটি অটোরিকশার গ্যারেজ, সোহেল মিয়ার ১টি অটোরিকশা গ্যারেজ এ সকল দোকানের দখলীদের কাছ থেকে সিএসডির কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী পাচ্ছে মাসোহারা। সিএসডি’র হেড দারোয়ান মো: সুরুজ মিয়া প্রতি মাসে ম্যানেজারের কথা বলে প্রতিটি দোকান থেকে ভাড়া তুলে করে নিয়ে যান এবং নতুন দোকান তোলা হলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে দারোয়ান সুরুজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান আমি প্রতি মাসে দোকান প্রতি ২/৩শ’ টাকা করে আদায় করি মসজিদের ইমাম ও খাদেমের বেতনের জন্য। কিন্তু বেশির ভাগ দোকানই এলাকার লোকজনের তারা এলাকার দাপট দেখিয়ে টাকা দেয় না।