নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডি: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থকদের মনোনয়ন প্যানেল চূড়ান্ত করার একদিন না যেতেই এড. তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে পাল্টা প্যানেল ঘোষণা করেছেন মনোনয়ন বঞ্চিতরা।
এ নিয়ে বুধবার (৭ মার্চ) ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের চেম্বারের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
তবে এটাকে সাময়িক উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, সমস্যা সামাধান হয়ে যাবে। হয়তো ক্ষোভ থেকে এটা করেছে।
একই ব্যক্তিদের বার বার মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, মনোনয়ন বঞ্চিতদের এমন অভিযোগের বিষয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, হবে হয়তো। ক্ষোভ থাকতেই পারে।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্রোহী প্যাণেলের সভাপতি প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কমিটিতো আর আমি ঘোষনা দেইনি, তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
মঙ্গলবার (০৬ মার্চ) রাতে বিএনপি সমর্থক জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের এক বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-২০১৯ সেশনের নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল)।
এতে সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীনকে সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বারের বর্তমান সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে। কিন্তু বুধবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজাকে সম্পাদক পদে প্রার্থী করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আরেকটি বিদ্রোহী প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে এসে এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য যারা আন্দোলন করে যাচ্ছে, যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাদের বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রতি বছরই একই ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হচ্ছে। এতে বিএনপিপন্থি ও সাধারণ আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। ক্ষোভের প্রতিফলনই আমাদের এই প্যানেল। অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজাকে সম্পাদক প্রার্থী করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিদ্রোহী প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি ডা. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া ও মুহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আয়ুব আলী আসরাফী, সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরিফ ইউ আহমেদ ও অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, সদস্য পদে মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অ্যাডভোকেট মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, সাবিনা ইয়াসমিন লিপি, মো. শফি-উর-রহমান, ইকবাল হোসেন, মো. আকবর হোসেন ও আব্দুস সামাদ।